জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে গত ৪০ বছর দায়িত্ব পালনকালে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পেয়েছেন মোট ৬ জনকে, যথাক্রমেঃ সর্বজনাব আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, জিল্লুর রহমান, আব্দুল জলিল, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ওবায়দুল কাদের।
★সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে জীবিত আছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও ওবায়দুল কাদের।
★বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭০ বছরের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুইজনই নারী ছিলেন দুইবারঃ
জননেত্রী শেখ হাসিনা ও সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
★জননেত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই পুরোটা সময় উনার সাথে কমিটিতে আছেন একমাত্র সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
★ ৬ জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার চাইতে বয়সে ছোট সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ওবায়দুল কাদের, বাকি সবাই বয়সে সিনিয়র।
★সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একইসাথে দেশের দুই শীর্ষ পদে আসীন হন : জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি ও শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী।
★সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনা চাচা ডাকতেন জিল্লুর রহমানকে ও ফুপু ডাকেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে।
★জননেত্রী শেখ হাসিনার সময়কালীন একমাত্র সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুর রাজ্জাক দল থেকে বের হয়ে গিয়ে নতুন দল গঠন করে পরে আবার দলে ফিরে আসেন।
★ জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা সব সাধারণ সম্পাদকই এমপি ও মন্ত্রী ছিলেন বিভিন্ন মেয়াদে।
★জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করা জিল্লুর রহমান একসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেও দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
★ ৬ জন সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি ছিলেন দুইজন : আব্দুর রাজ্জাক ও ওবায়দুল কাদের।
★ সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে সাজেদা চৌধুরী মহিলা আওয়ামী লীগ ও আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
★ বয়সের কারণে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হবার সুযোগ পাননি জিল্লুর রহমান ও সাজেদা চৌধুরী।
★ অামৃত্যু প্রতিটি সংসদে দলীয়/দল মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র জিল্লুর রহমান।
★ ৬ জন সাধারণ সম্পাদকের সকলেই সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের সাথে জড়িত, তাদের মধ্যে কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
★ ১৯৭০ এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য ছিলেন জিল্লুর রহমান, প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনীত সদস্য ছিলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
★ ৬ জন সাধারণ সম্পাদকের ৪ জনই ঢাকা বিভাগের, আব্দুল জলিল রাজশাহী বিভাগের (নওগাঁ জেলার) ও ওবায়দুল কাদের চট্রগ্রাম বিভাগের (নোয়াখালী জেলার)।
★ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একইসাথে জেল খেটেছেন শেখ হাসিনা ও আব্দুল জলিল।
★সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে বিভিন্ন সময় দায়িত্ব পালন করেছেন জিল্লুর রহমান ও সাজেদা চৌধুরী।
★সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে জিল্লুর রহমান,সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও আব্দুর রাজ্জাক জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করেছেন।
★ ৬ জন সাধারণ সম্পাদকের সকলেই বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
★ সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে সরাসরি বঙ্গবন্ধুর সাথে আওয়ামী লীগ করা একমাত্র সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী জীবিত আছেন।
★ সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে জিল্লুর রহমান একইসাথে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০০৭ -এ ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী ষড়যন্ত্র মামলার আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
★সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে জিল্লুর রহমান,আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল জলিলের ছেলে এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বোন বর্তমানে একই আসনের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য।
★সাধারণ সম্পাদকগণের মধ্যে দুইজন- জিল্লুর রহমান ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম একই জেলা অর্থাৎ কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান।
★ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ৬ জন সাধারণ সম্পাদকই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
***রবহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ৪০ বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বঙ্গবন্ধু তনয়া গণতন্ত্রের মানসকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য নিরন্তর শুভকামনা।
কপিরাইট সুমন চন্দ্রঘোষ